ব্রেকিং:
রাণীনগরে বিদ্যুতায়িত হয়ে ভ্যানচালকের মৃত্যু রাণীনগরে প্রশিকার গাছ বিতরণ পত্নীতলায় শিক্ষার্থীদের নামে চাঁদাবাজি, যুবক আটক নওগাঁয় সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের দাম কমেছে মনে ১০০ টাকা নিয়ামতপুরে খাল খননে ভাগ্য বদলে দিয়েছে কৃষকের রাণীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নারীর মৃত্যু

শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১   ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নওগাঁ দর্পন
সর্বশেষ:
রাণীনগরে বিদ্যুতায়িত হয়ে ভ্যানচালকের মৃত্যু রাণীনগরে প্রশিকার গাছ বিতরণ পত্নীতলায় শিক্ষার্থীদের নামে চাঁদাবাজি, যুবক আটক নওগাঁয় সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের দাম কমেছে মনে ১০০ টাকা নিয়ামতপুরে খাল খননে ভাগ্য বদলে দিয়েছে কৃষকের রাণীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নারীর মৃত্যু
৯৩

এস আলমের সব ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দেওয়া হবে

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২৪  

ইসলামী ব্যাংকে থাকা এস আলমের মালিকানাধীন সব শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তাদের শেয়ারগুলো এখন সরকারি মালিকানায় চলে যাবে। এই মুহূর্তে ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ধীরে ধীরে তাদের মালিকানাধীন সব ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

 

গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কনফারেন্সরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এসব কথা বলেন।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটির বেশির ভাগ শেয়ার এস আলমের হাতে থাকায় আপাতত ব্যাংকটিতে সব স্বতন্ত্র পরিচালক দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে আগের পরিচালকরা ২ শতাংশ করে শেয়ার কিনে আসার পর তাঁদের পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হবে।

 

তিনি বলেন, এখন ইসলামী ব্যাংকে এস আল‌ম গ্রুপ বা তার স্বার্থসং‌শ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কা‌রো না‌মে এককভা‌বে ২ শতাংশ শেয়ারের মালিক নেই। তাই পরবর্তী‌ সময়ে যখন কো‌নো শেয়ার‌হোল্ডার ২ শতাংশ শেয়ারের মা‌লিক হ‌বেন, তখন তাঁ‌দের ম‌ধ্য থে‌কে প‌রিচালক নি‌য়োগ দেওয়া হ‌বে। এস আলম ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব শেয়ার সরকারের দায়িত্বে নেওয়া হবে। এস আলম যদি সব দায় পরিশোধ করে, তবে তাদের শেয়ার ছেড়ে দেওয়া হবে।

 

তা না হলে সমন্বয় করা হবে। শুধু ইসলামী ব্যাংক নয়, ধীরে ধীরে তাদের সব ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হবে বলে জানান গভর্নর।

 

বর্তমানে এস আল‌মের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক।

২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক দখলে নেয় এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির মালিকানা নেওয়ার পর থেকে নামে-বেনামে ৭৫ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে এস আলম গ্রুপ।

 

ব্যাংকটির শেয়ারের ৮২ শতাংশের মালিকানা রয়েছে এস আলমের হাতে। এরই মধ্যে এস আলমের শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিএসইসি।

 

গভর্নর বলেন, ‘এস আলম গ্রুপ যত টাকা নিয়েছে, তার সবটুকু যত দিন পর্যন্ত ফেরত না আসবে, তত দিন তারা শেয়ার ফেরত পাবে না। ব্যাংকগুলোকে ভগ্নদশা থেকে উদ্ধার করতে হবে। সেই প্রক্রিয়াই শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মনে হয় না যে তাদের সম্পদ দিয়ে আত্মসাৎ করা সব অর্থ পুনরুদ্ধার সম্ভব। তার পরও যতটুকু সম্ভব আদায় করার চেষ্টা করছি আমরা।’ 

 

এস আলমের দখলে ৮২% শেয়ার

ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপ শুধু ঋণ জালিয়াতি বা নিয়োগ পদোন্নতিতে অনিয়ম করেছে তেমন নয়। ব্যাংক কম্পানি আইন অনুযায়ী কোনো একটি ব্যাংকে একক ব্যক্তি, পরিবার বা গোষ্ঠী সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা নিতে পারে। ইসলামী ব্যাংক দখলের পর নামে-বেনামে ২৪ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১৩১ কোটি ৮৯ লাখ ১২ হাজার ১৬৫টি শেয়ারের মালিকানা নিয়েছে এস আলম গ্রুপ, যা ব্যাংকটির মোট শেয়ারের ৮১.৯২ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও এস আলমের ছেলে আহসানুল আলমের মালিকানাধীন জেএমসি বিল্ডার্সের নামে শেয়ার রয়েছে তিন কোটি ২৩ লাখ ৬০ হাজার ৮১২টি, যা ২.০১ শতাংশ।

এ ছাড়া বিটিএ ফাইন্যান্স, প্যারাডাইস ইন্টারন্যাশনাল, এবিসি ভেঞ্চারস, এক্সেল ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং, প্লাটিনাম এনডেভার্স, এক্সেলশিয়ার ইমপেক্স, গ্র্যান্ড বিজনেস, লায়ন হেড বিজনেস রিসোর্সেস, বিএলইউ ইন্টারন্যাশনাল, আর্মদা স্পিনিং মিলস, কিংসওয়ে এনডেভার্স, ইউনিগ্লোব বিজনেস, সোলিভ ইনস্যুরেন্স, হলিস্টিক ইন্টারন্যাশনাল, হাই ক্লাস বিজনেস এন্টারপ্রাইজ, ক্যারেলিনা বিজনেস, ব্রিলিয়ান্ট বিজনেস, ব্রডওয়ে ইম্পেক্স, পিকস বিজনেস, এভারগ্রিন শিপিং, ম্যারাথন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, কিংস্টোন ফ্লাওয়ার মিলস ও পারসেপ্টা এনডেভার্স। এসব প্রতিষ্ঠানের নামে ২ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার রয়েছে।

নওগাঁ দর্পন
এই বিভাগের আরো খবর