ব্রেকিং:
রাণীনগরে বিদ্যুতায়িত হয়ে ভ্যানচালকের মৃত্যু রাণীনগরে প্রশিকার গাছ বিতরণ পত্নীতলায় শিক্ষার্থীদের নামে চাঁদাবাজি, যুবক আটক নওগাঁয় সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের দাম কমেছে মনে ১০০ টাকা নিয়ামতপুরে খাল খননে ভাগ্য বদলে দিয়েছে কৃষকের রাণীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নারীর মৃত্যু

মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ১ ১৪৩১   ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নওগাঁ দর্পন
সর্বশেষ:
রাণীনগরে বিদ্যুতায়িত হয়ে ভ্যানচালকের মৃত্যু রাণীনগরে প্রশিকার গাছ বিতরণ পত্নীতলায় শিক্ষার্থীদের নামে চাঁদাবাজি, যুবক আটক নওগাঁয় সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের দাম কমেছে মনে ১০০ টাকা নিয়ামতপুরে খাল খননে ভাগ্য বদলে দিয়েছে কৃষকের রাণীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নারীর মৃত্যু
২৪

কৃষিঋণে দালালি রোধে কাজ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২৪  

কৃষিঋণ বিতরণে দালালদের আধিপত্য রোধে কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কনফারেন্স রুমে চলতি অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ঘোষণাকালে তিনি এ কথা জানান। এ সময় ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালকসহ বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

এবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য ৩৮ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরে ছিল ৩৫ হাজার কোটি টাকা। নীতিমালায় বলা হয়, কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিকট স্বল্পসুদে ঋণপ্রবাহ পৌঁছাতে সহায়ক হবে। কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পল্লী অঞ্চলে গ্রামীণ অর্থায়নের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনেও এটি অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

গভর্নর বলেন, কোনো দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগী ব্যতিরেকে যাতে সরাসরি কৃষকরা ঋণ পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা একটা স্ট্যাডি করব, সেখানে দেখব প্রকৃত কৃষক কৃষিঋণ পাচ্ছে কিনা। এর মাধ্যমে দালালদের দৌরাত্ম্য আসলে কতটুকু সেটি দেখব। কৃষিঋণ বিতরণের কারণে যদি উৎপাদন বাড়ে, তাহলে আমদানি কমে আসবে। তবে আমদানি চাহিদা বাড়ছেÑ এটি বাড়তে থাকবে। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে বলেছিÑ কৃষিঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা যেন পূরণ করা হয়।

এবার চাহিদা বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে মোট লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো ১২ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ২৪ হাজার ১২১ কোটি টাকা, বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এক হাজার ২৬৪ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। মোট ঋণের অন্তত ৫০ শতাংশ নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বিতরণ করতে হবে। বাকি ৫০ শতাংশ ব্যাংক-এমএফআই নির্ভরতায় বিতরণ করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া নীতিমালায় মোট লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ শস্য ও ফসল খাতে, ১৩ শতাংশ মৎস্য খাতে এবং ১৫ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতে ঋণ বিতরণ করতে হবে ব্যাংকগুলোকে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ব্যাংকগুলোর কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার অনর্জিত অংশ কৃষি খাতেই বিনিয়োগের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট কমন ফান্ড’ নামে একটি ফান্ড গঠন করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে

ব্যর্থ ব্যাংকসমূহের অনর্জিত অংশ এ ফান্ডে জমা হবে এবং জমাকৃত অর্থের বিপরীতে তাদের ২ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করা হবে। এই কমন ফান্ডে জমাকৃত অর্থ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকারী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ করা হবে এবং মেয়াদ শেষে তহবিল ব্যবহারকারী ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংককে ২ শতাংশ সুদসহ আসল পরিশোধ করবে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়, কোভিড-১৯ অতিমারী উত্তর বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কৃষি খাতের গুরুত্ব বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে আমদানিনির্ভর ফসল উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য আমদানি বিকল্প ফসল উৎপাদনে ৪ শতাংশ রেয়াতি সুদহারে কৃষিঋণ বিতরণ অব্যাহত আছে। এ ছাড়া দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষির প্রধান প্রধান খাতে স্বল্পসুদে (৪ শতাংশ) ঋণপ্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৫ হাজার কোটি টাকা এবং গম ও ভুট্টা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এক হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম চলমান রয়েছে। এ ছাড়া কোভিড-১৯ এর সময় দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশে গঠিত ‘ঘরে ফেরা’ কর্মসূচির আওতায় ৫০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিমও চলমান রয়েছে। এসব পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় চলতি অর্থবছরও ঋণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

নওগাঁ দর্পন
এই বিভাগের আরো খবর