ফলপ্রসূ এক সফর হর্ষবর্ধন শ্রিংলা
প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২৪
![](https://www.naogaondorpon.com/media/imgAll/2018November/Screenshot_2-2406300818.jpg)
নরেন্দ্র মোদি তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম ভারত সফরে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এটি বিস্ময়কর কিছু নয়। ১০ বছরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি আর প্রধানমন্ত্রী হাসিনা দুই পক্ষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আগের ৪০ বছরের চাইতে বেশি কার্যকর ফল অর্জন করেছেন। তাই আশ্চর্যের কিছু নয় যে, দুই প্রধানমন্ত্রীই এ সময়টিকে সম্পর্কের ‘সোনালি অধ্যায়’ বলে থাকেন।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে নয়াদিল্লি সফরটি সংক্ষিপ্ত ছিল, তবে এ সফর আগামী কয়েক দশক ধরে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ছিল পর্যাপ্ত গতিশীল উপাদানে ভরপুর।
প্রটোকল অনুযায়ী সফরটি ছিল রাষ্ট্রীয় এবং রাষ্ট্রপতি ভবনে একটি আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনার মাধ্যমে তা শুরু হয়েছিল। ৯ জুন অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের নেতাদের সঙ্গে মোদি সরকারের তৃতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পক্ষকাল পরে এর শুরু।
সেই দৃষ্টিকোণ থেকে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার ২১-২২ জুনের সফরটি ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদির তৃতীয় মেয়াদে প্রথম দ্বিপক্ষীয় রাষ্ট্রীয় সফর এবং প্রধানমন্ত্রী হাসিনার জানুয়ারিতে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম দ্বিপক্ষীয় বিদেশ সফরও, যা সম্পর্কের প্রতি উভয় পক্ষের দারুণ মনোযোগকে প্রতিফলিত করে।
বিগত এক দশকে প্রতিটি ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের মৌলিক রূপান্তর হয়েছে, তবে শুধু এটুকু বললে বিষয়টাকে ছোট করে দেখা হবে।
বাণিজ্য, নিরাপত্তা সংযোগ, শক্তি, ডিজিটাল সংযোগ, জনগণের আসা-যাওয়া, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক-প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।
ঐতিহাসিক সম্পর্কগুলো একটি সাধারণ ভাষা এবং সংস্কৃতির সঙ্গে অন্তরঙ্গভাবে মিলে সার্বভৌমত্ব, সমতা, বিশ্বাস ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে একটি আধুনিক শক্তিশালী অংশীদারিতে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশকে ভারত দেখে ‘নিকট ও মূল্যবান প্রতিবেশী’ হিসেবে, রাষ্ট্র হিসেবে যে পড়শির সক্ষমতা দিনদিন বাড়ছে। সাগর (সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্রোথ ফর অল ইন দ্য রিজিওন) ডকট্রিন এবং নয়াদিল্লির ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশনের পাশাপাশি ভারতের ‘প্রথমেই প্রতিবেশী’ (নেইবারহুড ফার্স্ট) ও ‘পূর্বাঞ্চলের সক্রিয় হওয়া’ (অ্যাক্ট ইস্ট) পলিসির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে একটি ‘অভিসারী বিন্দু’ বা ‘আকাক্সিক্ষত ক্ষেত্র’ হিসেবে দেখা হয়। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ একটি অবিচ্ছেদ্য অংশীদার। অন্যদিকে বাংলাদেশও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘একটি প্রধান প্রতিবেশী’ ও ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’র (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা অনুযায়ী) এবং অন্যতম প্রধান উন্নয়ন অংশীদারের সঙ্গে সম্পর্ক হিসেবে মূল্যায়ন করে। এশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার এ ভারতই।
প্রকৃতপক্ষে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দক্ষিণ এশিয়া এবং এ অঞ্চলকে ছাপিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মডেল হিসেবে কাজ করছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক। এতে বড় অবদান রেখেছে বিভিন্ন পর্যায়ে টেকসই সংলাপ, যার ভিতর প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপও রয়েছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও উল্লেখ করেছেন যে, বিগত বছরে তিনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ বারের মতো সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সফরগুলোয় দুই প্রধানমন্ত্রী মিলে দুই দেশের গতিশীল সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছেন, যার মধ্যে ছিল ১০টি চুক্তি স্বাক্ষর এবং দ্বিপক্ষীয় ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা শক্তিশালী করার নিমিত্ত প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা, প্রণোদনা ও রসদ। প্রধানমন্ত্রী মোদির ভাষায়, ভারতের ‘২০৪৭-এর ভিতর বিকশিত ভারত’-এর স্বপ্ন এবং বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১’-এর ওপর ভিত্তি করেই দুই দেশ ‘দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ভবিষ্যৎ’-এর পরিকল্পনা করেছে।
‘ভবিষ্যতের আলোকে “ভারত-বাংলাদেশ”-এর যৌথ পরিকল্পনা : একই ধারায় উন্নতির লক্ষ্যে যোগাযোগ, বাণিজ্য ও সহযোগিতা বাড়ানো’র বিষয়টিতে পরিবেশ, টেকসই উন্নয়ন ও ব্লু ইকোনমির কথা বলা হয়েছে। আমাদের সামনে যেহেতু জলবায়ু সংকটের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান, তাই দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিতে এসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়াটা শুধু সময়োচিত নয়, বরং অবশ্যকরণীয় কাজও বটে। তাই দুই দেশের পক্ষে দুর্যোগঝুঁকি কমানোর জন্য চেষ্টা করা ও ইন্দো-প্যাসিফিক ইনিশিয়েটিভের ব্যবস্থাপনার ভিত্তির ওপর কাজ করা এবং দুর্যোগঝুঁকি প্রশমনে সহযোগিতা করার জন্য একই সঙ্গে কাজ করাই স্বাভাবিক।
ভারত ও বাংলাদেশে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে এবং দুই দেশের জনগণের বড় একটা অংশ নির্ভর করে এ নদীগুলোর ওপর। তাই দুই দেশের জন্যই পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা অগ্রাধিকারমূলক একটি বিষয়। তাই দুই প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সংলাপের সময় যৌথ নদী কমিশনের পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে মধ্যবর্তী পানি বণ্টনের জন্য কাঠামো তৈরি এবং তথ্যবিনিময়ের ওপর জোর দিয়েছেন।
১৯৯৬ সালে ৩০ বছরের জন্য স্বাক্ষরিত গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তি ২০২৬ সালে নবায়ন করতে হবে। এ উদ্দেশ্যে দুই দেশ প্রতিষ্ঠা করেছে একটি যৌথ কৌশলগত কমিটি, এ মহাগুরুত্বপূর্ণ চুক্তি নবায়নের আলোচনাটি টেবিলে তুলবার জন্য। এ চুক্তির স্বাক্ষর বিবেচিত হয়েছিল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক মাইলফলক হিসেবে, যা দূর করেছিল কয়েক দশক ধরে বিদ্যমান উদ্বেগের, বৃদ্ধি করেছিল ভারতের সুনাম। আরেকটি জলভাগের উন্নয়নের অংশ হিসেবে, ভারতের সহায়তায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তিস্তা নদীর সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছিলেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
মহাশূন্যে নতুন যুগের মেলবন্ধনে যৌথ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশি উপগ্রহ উৎক্ষেপণে সাহায্য করবে ভারত।
দুই দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করার জন্য জ্বালানি ও ডিজিটাল খাতে সহযোগিতাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যৌথ পরিকল্পনার দলিলে উল্লেখ করা হয়েছে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার কথা, যাতে সংযুক্ত আন্ত-আঞ্চলিক বিদ্যুৎ বাণিজ্য, অর্থাৎ ভারত, নেপাল ও ভুটানের পরিচ্ছন্ন জ্বালানি প্রকল্প থেকে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে শক্তি উৎপাদন করা হবে। এ শক্তি সরবরাহ করা হবে বাংলাদেশ হয়ে বিহার ও আসামের ভিতর ৭৬৫ কেভির উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ইন্টারকানেকশনের মাধ্যমে, যা হবে ভারতের অর্থায়নেই। এ নতুন সরবরাহ লাইন শুধু ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল থেকে অতিরিক্ত জ্বালানিপ্রবাহের জন্য স্বল্পতম রুটের সুবিধাই নিশ্চিত করবে না, বরং অপ্রশস্ত শিলিগুড়ি করিডোরের ওপর ট্রানজিটের চাপও কমাবে।
বাণিজ্য আরও এগিয়ে নিতে দুই দেশ বিশদ অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তির ওপর সংলাপ শুরু করবে।
বাংলাদেশ থেকে দুটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (মোংলা ও মিরসরাই) প্রদানের প্রস্তাব, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নতুন হাটের উদ্বোবন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে বাণিজ্যিক সুবিধা বৃদ্ধি, স্থলপথ, রেলপথ, আকাশপথ ও জলপথের সংযোগ এবং বাণিজ্য অবকাঠামোর উন্নয়ন হলো অন্যান্য ধাপের কয়েকটি; যা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে ‘আমাদের ভৌগোলিক নৈকট্যকে আমাদের জনগণের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগে রূপান্তরের’ মহান লক্ষ্যে।
কানেকটিভিটি বা সংযোগ হলো ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতার মূল ভিত্তি, যা বাণিজ্য এবং উভয় দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্কের ওপর বহুগুণ প্রভাব ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি উল্লেখ করেছেন, দুটি দেশ ১৯৬৫-এর আগের সমস্ত সংযোগ পুনরুদ্ধার করেছে এবং মানুষ, পণ্য ও পরিষেবার বিরামহীন আন্তসীমান্ত চলাচলের জন্য আরও কিছু প্রকল্পও বাস্তবায়ন করা হবে। এ সংযোগ বৃদ্ধিতে উপ-আঞ্চলিক উদ্যোগও অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা বাংলাদেশকে রেলপথে নেপাল ও ভুটানে পণ্য পরিবহনে সহায়তা করবে। জয়েন্ট ভিশন ডকুমেন্ট অনুসারে রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে একটি নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা এবং গেদে-দর্শনা থেকে চিলাহাটি-হলদিবাড়ী হয়ে হাসিমারা হয়ে ভারত-ভুটান সীমান্তে ডালগাঁও পর্যন্ত একটি পণ্য-ট্রেন পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ঐকমত্য হওয়া গেছে।
উপ-আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধির জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বিবিআইএন (বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল) মোটর ভেহিকল অ্যাগ্রিমেন্ট বাস্তবায়িত করার জন্য সংকল্পবদ্ধ উভয় দেশ। কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত নতুন বাস সার্ভিসের পরিকল্পনাও হাতে রয়েছে।
প্রতিরক্ষা অংশীদারি জোরদার করার লক্ষ্যে উভয় দেশ বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়ন করার জন্য প্রতিরক্ষা শিল্পায়ন সহযোগিতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে অগ্রসর হবে। যৌথ সামরিক মহড়া, প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মতো বিষয়েও কাজ করা হবে।
এক দশক বা তারও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের উন্নয়ন অংশীদারি সহায়তার বৃহত্তম গ্রাহক। ভারত সহজ শর্তে বাংলাদেশকে দিয়েছে ১০ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ঋণ। দুই দেশ এখন একটি নতুন ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তিতে কাজ করছে, যা ‘আমাদের প্রকল্প এবং কর্মসূচির পরিসীমা এবং ঘনিষ্ঠ সংযোগের দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্প্রসারিত করবে।’
ভারতের সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভারত সিভিল সার্ভিস কর্মী, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং অন্যদের জন্য প্রশিক্ষণের প্রসার ঘটাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান সফরের সময় ভারত বাংলাদেশি পুলিশ অফিসারদের জন্য ৩৫০টি প্রশিক্ষণ স্লট সুবিধার কথা ঘোষণা করেছে।
উভয় দেশের সরকারের জন্যই জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কোন্নয়ন অত্যন্ত অগ্রাধিকারমূলক একটি বিষয়। দুই দেশের তরুণদের মধ্যে এ যোগাযোগের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কোন্নয়নের অতিপ্রয়োজনীয় ঘোষণাটি আসলে ভারতে চিকিৎসসেবা গ্রহণ করতে আসা বাংলাদেশিদের জন্য ই-মেডিকেল ভিসা সুবিধারই একটি সম্প্রসারণ। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষের জন্য কনসুলার ও ভিসা সেবা আরও গতিশীল করতে রংপুরে একটি নতুন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন চালু হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সফল হওয়ায় এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থিতিশীল থাকার পরও উভয় পক্ষকেই সম্ভাব্য ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সেই ঝুঁকিগুলোর ভিতর রয়েছে-ক্রমবর্ধমান উগ্রবাদ, মৌলবাদ এবং পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম সংলগ্ন বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা ও অন্য অঞ্চলে বিরাজমান ভারতকে হুমকির মুখে ফেলা সন্ত্রাসবাদ। এর চেয়েও বড় উদ্বেগের কারণ হতে পারে বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব। আপাতদৃশ্যে ক্ষুদ্র, কিন্তু আসলে বড় এ ঝুঁকি ভারত ও বাংলাদেশ, উভয় দেশের জন্যই প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
বাংলাদেশের কাছেও মূল্যবান প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের প্রদান করা সুবিধা ও চ্যালেঞ্জগুলো এবং বাংলাদেশের সক্ষমতার ক্রমোন্নয়নের কারণে দেশটি হয়ে উঠেছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশীদার। তাই এটাই স্বাভাবিক যে ভারত এ সম্পর্ককে গভীরভাবে পরিচর্যা করতে চাইবে। বাংলাদেশের জন্যও ভারত এমন এক অংশীদার যে গভীর প্রয়োজনের সময় তার পাশে থেকেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে ঘোষিত নতুন উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে দুই দেশের পরীক্ষিত বন্ধুত্ব নতুন উচ্চতায় উঠবে, সন্দেহ নেই।
হর্ষবর্ধন শ্রিংলা : ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার
নওগাঁ দর্পন- দেশীয় মাছের ডিম থেকে রেণু উৎপাদন, কোটিপতি বদলগাছীর পিয়াল
- বৃক্ষরোপণে ব্যাপক সাফল্য ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের
- মহাদেবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদ্রাসা সুপারের মুত্যু
- মহাদেবপুরে বিনা খরচে সিজার ও নরমাল ডেলিভারিতে খুশি প্রসূতিরা
- আত্রাইয়ে অসহায় পরিবারের মাঝে অনুদানের চাল বিতরণ
- আত্রাইয়ে ধানের বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন
- রাণীনগরে বজ্রপাতে নিহত ১
- বাজেটে বিদেশনির্ভরতা কমানো হয়েছে
- রংপুরে চালু হচ্ছে দেশের প্রথম রোবটিক সার্জারি!
- যানজট কমাতে পে-পার্কিং চালু
- ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হবে ইংরেজি বছরে
- কলড্রপ নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর কড়া বার্তা
- ঢাকায় লক্কড়-ঝক্কড় বাস চলবে না আজ থেকে অভিযান
- দাম কমলো ডিজেল-কেরোসিনের
- নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে দৃষ্টান্ত-শিল্পমন্ত্রী
- অপ্রচলিত বাজারে বেড়েছে রপ্তানি
- বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসাবে নিবন্ধিত হচ্ছে সুন্দরবনের মধু
- বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
- দুদকের ‘গর্জনে’ আতঙ্কে দুর্নীতিবাজরা
- বে-টার্মিনালে ৭,৬৩৮ কোটি টাকা অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
- এই প্রথম রিজার্ভের লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে
- সরকারি হাসপাতালে সব বিনামূল্যে হবে
- আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৭৫ শতাংশে পৌঁছাবে
- বিমানবন্দর গোলচত্বরে হচ্ছে বৃহত্তম আন্ডারপাস
- কৃষি খাতে ভর্তুকি বহাল রেখে অর্থবিল পাস
- সংসদে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি করলে কারো রক্ষা নেই
- ফলপ্রসূ এক সফর হর্ষবর্ধন শ্রিংলা
- টিসিবির জন্য ৪৯৩ কোটি টাকার ভোজ্যতেল কিনছে সরকার
- জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন নওগাঁর আরেফিন
- আত্রাইয়ে ডাসকো ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সংলাপ সভা
- মান্দায় গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- আওয়ামী লীগের ইশতেহারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য যেসব অঙ্গীকার
- নওগাঁর নতুন জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা
- নওগাঁয় প্রকৌশলী সাইদুজ্জামানের পরিবারে বইছে স্বস্থির হাওয়া
- নওগাঁয় মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরি পেলেন ১৮১ তরুণ-তরুণী
- নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলের মৃত্যু
- নওগাঁর ‘মাতাজীর স্পঞ্জ মিষ্টি’ মুখে দিতেই গলে যায়
- রাজশাহী সহ ৪ বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি
- এ বছরের ফিতরা কত, জানাল ইসলামিক ফাউন্ডেশন
- ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা বন্ধে সংসদে প্রস্তাব পাস
- নওগাঁয় বজ্রপাতে দুই নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু
- নওগাঁয় খামারের ৮০০ হাঁস নিয়ে উধাও পাহারাদার
- নওগাঁয় এক ভুয়া চিকিৎসকের ৬ মাসের কারাদণ্ড
- মহাদেবপুররে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ,গ্রেফতার১
- রাণীনগরে আগুনে পুড়লো তিনটি গরুসহ বাড়ি
- নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে
- সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার ৭টি ফজিলত
- নওগাঁয় বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, উড়ে গেল ঘরের চাল
- বদলগাছীতে সাড়া ফেলেছে বাউ চিকেন
- স্বাদে-মানে অনন্য নওগাঁর প্যারা সন্দেশ
- নওগাঁয় সাড়া ফেলেছে নতুন জাতের মুরগি ‘বাউ চিকেন’
- ১২ কেজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম কমল
- নওগাঁয় পর্যটকদের নজর কাড়ছে ‘ব্র্যান্ডিং সাপাহার’
- নওগাঁবাসীর জন্য ১২০ পদে সরকারি চাকরির সুযোগ
- মাত্র ৫ হাজার টাকায় শুরু করুন, দারুন লাভজনক এই ব্যবসাগুলো
- কাঁচা এবং হাফ সেদ্ধ ডিম কি আসলেই উপকারী, যা বলছেন পুষ্টিবিদ
- পতিত জমিতে বাগান করে লাভবান স্থানীয় বাসিন্দরা
- জনবল নিচ্ছে নওগাঁ সিভিল সার্জন
- রাতের তাপমাত্রা কমে আসবে শীতের আমেজ
- মেট্রো যাচ্ছে ৫ জেলায়
- মেঘনায় হচ্ছে তৃতীয় সেতু,দূরত্ব কমবে ঢাকার পার্শ্ববর্তী কয়েক জেলার
- সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা
- বৈদ্যুতিক গাড়ির যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ
- কাঁঠাল থেকে তৈরি হবে দই, আইসক্রিম, চকোলেট ও চিজ
- তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু চালু হচ্ছে জুনে
- কলা উৎপাদনে সহযোগিতা করবে ফিলিপাইন, আলু নিবে শ্রীলংকা
- বগুড়ার দুর্গম যমুনা চরে চাষ হচ্ছে সুপার ফুড `কিনোয়া`
- বন্দরে ভারতসহ তিন দেশের ৬ গমবাহী জাহাজ, কমতে শুরু করেছে দাম
- এসি রুমে বসে প্রথম ট্রেন চালাচ্ছেন চালকরা
- এক মাসেই ৬০ হাজার কোটি টাকার আমদানি
- সাগরে আরও একটি কূপ খননের প্রক্রিয়া শুরু
- কঁচা নদীর ওপর সেতু `দুই ঘণ্টার রাস্তা এখন দু`মিনিটের`
- ঘরে বসে এক কলেই মিলছে পাসপোর্ট-ভিসার সব তথ্য
- মেট্রোরেলে চাকরি, পদ ১৩০, আবেদন ফি ৫০০
- সব স্টেশনই হবে আধুনিক ও নান্দনিক